Monday 19 June 2017

বাড়িয়ে নিন ল্যাপটপের আয়ু


একসময় ল্যাপটপের দামের জন্য এই প্রয়োজনীয় যন্ত্রটি ছিল অনেকেরই নাগালের বাইরে। কিন্তু এখন আর এই দিন নেই। ডেস্কটপের চেয়ে ল্যাপটপের কদরই বেশি। বহনযোগ্য ও ব্যবহারের সুবিধার কারণে অনেকেরই পছন্দ ল্যাপটপ।ল্যাপটপ যেমন সুবিধা দিতে পারে তেমন অসুবিধার ও সৃষ্টি করতে পারে।
ল্যাপটপের কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে একটু বেশিই অসুবিধায় পড়তে হয়। আর এজন্য ল্যাপটপ যত্ন সহকারে ব্যবহার করা প্রয়োজন। তবে এটি টিকবে দীর্ঘদিন। তাই আপনার প্রিয় ল্যাপটপটির আয়ু বাড়াতে কিছু টিপস দেয়া হল।
সবসময় ল্যাপটপকে ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করুন : আপনার ল্যাপটপ যতই গরম হবে ল্যাপটপের ততই সমস্যা হবে। এজন্য চেষ্টা করবেন যতটুকু সম্ভব ল্যাপটপ ঠাণ্ডা রাখতে। আপনার যদি অভ্যাস থাকে বিছানা, বালিশ কিংবা কুশন টেবিল হিসেবে ব্যবহার করে ল্যাপটপ চালান তাহলে নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন। কারণ এর ফলে ল্যাপটপটির বাতাস চলার পথ বন্ধ হয়ে এটি ক্রমশই গরম হয়ে উঠবে। ল্যাপটপের ভেতরটা গরম বা ঠাণ্ডা রাখার ব্যাপারে সরাসরি আপনার হাতে না থাকলেও বাইরে থেকে একে ঠাণ্ডা রাখার উদ্যোগ অবশ্যই আপনি নিতে পারেন। এজন্য ব্যবহার করতে পারেন Cooling pad. যা দুই বা ততোধিক ইউএসবি পাওয়ার ও ফ্যানের সাহায্যে ল্যাপটপ থেকে তাপ হটায়। বাজারে অ্যানটেক, ডাটা সেক্টর, টারগাস কোম্পানির কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। ল্যাপটপ শক্ত মসৃণ স্থানে ব্যবহার করুন।

ব্যাটারির যত্ন:
১. ব্যাটারির লাইফ টাইম বাড়াতে স্কিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে ব্যবহার করুন।
২. ব্যাটারি কানেক্টরের লাইন মাঝে মাঝে পরিষ্কার করুন।
৩. সবসময় চার্জার লাগিয়ে রেখে চার্জ দেবেন না। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ব্যাটারি দিয়ে ল্যাপটপ চালান।

প্রসেসরের যত্ন:
১. প্রসেসরের উপর চাপ কমাতে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম বন্ধ রাখুন।
২. কম দরকারি উইন্ডো গুলো মিনিমাইজ করে রাখুন।
৩. হার্ডডিস্ক ও সিপিইউ এর মেইনটেন্স এর সময় কোন প্রকার কাজ করা উচিত নয়।
৪. মাসে দুই তিন বার হাডর্ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট করুন।

স্ক্রিনের যত্ন:
১. সরাসরি সূর্যের আলোয় ল্যাপটপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
২. নিয়মিত স্ক্রিন পরিস্কার রাখুন। কাজ না করলে ঢেকে রাখুন।
৩. কির্বোড ও ল্যাপটপের ডিসপ্লে ধুলোর থেকে রক্ষার জন্য স্ক্রিন ও কির্বোড প্রটেক্টর ব্যবহার করুন।

অন্যান্য:
১. ল্যাপটপের সিডি/ডিভিডি রমের ক্ষমতা কম থাকে তাই সব সময় হার্ডডিস্ক থেকে মুভি/গান চালাবেন।
২. এয়ার ভেন্টের পথ খোলা রেখে সহজে বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে ল্যাপটপ রেখে কাজ করুন।
৩. দরকার ছাড়া ব্লু-টুথ এবং ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন।
৪. ম্যালওয়ার-অ্যাডওয়ার জাতীয় ক্ষতিকারক সফটওয়ার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং ভাল মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।

সাবধানে বহন করুন আপনার ল্যাপটপটি : গঠনগত দিক থেকেই ডেস্কটপের চাইতে ল্যাপটপ অনেক বেশি স্পর্শকাতর। কাজেই ল্যাপটপকে সাবধানে ব্যবহার যেমন করবেন তেমনি সাবধানে এটিকে বহনও করতে হবে। এটিকে বহন করার জন্য এমন একটি ব্যাগ ব্যবহার করুন, যা আপনার ল্যাপটপকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিবে। যানবাহনে আপনার ল্যাপটপকে সাবধানে সাথে নিন যাতে কোথাও ধাক্কা না লাগে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আপনি ল্যাপটপের প্রতি মনোযোগী হলেই নিজেই বুঝতে পারবেন কিভাবে আপনার গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটি ব্যবহার করবেন।

No comments:

Post a Comment