Thursday 25 February 2016

বাতির নিচে ইন্টারনেট

শুধু একটি বাতির নিচে স্মার্টফোন নিয়ে গেলেই তা ইন্টারনেট সংযোগ পায়। এটাই লাই-ফাই প্রযুক্তি। আধুনিক যুগের ওয়াই-ফাইয়ের চেয়ে ১০০ গুণ দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা দিতে পারে লাই-ফাই প্রযুক্তি। 
ফ্রান্সের প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ওলেডকম স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠেয় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে নতুন এই লাই-ফাই প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছে। ২২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বার্সেলোনায় নতুন প্রযুক্তি পণ্য প্রদর্শনীর অনুষ্ঠান মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওলেডকম দেখিয়েছে, তাদের তৈরি অফিস ল্যাম্পের নিচে মোবাইল ফোন নিয়ে গেলেও ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায়। এতে ভিডিও চালানো যায়। 
লাই-ফাই বা লাইট ফিডেলিটি প্রযুক্তির বিশেষ সুবিধা হচ্ছে—দ্রুতগতি। 
ওলেডকমের প্রতিষ্ঠাতা সুয়াত তপসু বলেন, পরীক্ষাগারে লাই-ফাই প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা গেছে ২০০ জিবিপিএস পর্যন্ত গতি পাওয়া যায়। অর্থাৎ, প্রতি সেকেন্ডে ২৩টি ডিভিডি ডাউনলোডে সমান গতি। ওয়াই-ফাইয়ের চেয়ে শত গুণ দ্রুতগতি লাই-ফাইয়ে পাওয়া সম্ভব। কারণ এ প্রক্রিয়ায় বেতার তরঙ্গ তথ্য স্থানান্তরে ব্যবহৃত হয়। 
এলইডি বা লাইট এমিটিং ডায়োড থেকে উৎপন্ন তরঙ্গ এতে ব্যবহৃত হয়। 
২০১৫ সাল থেকে লাই-ফাই প্রযুক্তি আলোচনায় আসতে শুরু করে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, এস্তোনিয়া ও ভারতে এ প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চলছে। নেদারল্যান্ডসের যন্ত্রাংশ নির্মাতা ফিলিপস এই প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী। এ ছাড়া অ্যাপল তাদের পরবর্তী আইফোনে লাই-ফাই প্রযুক্তি যুক্ত করবে।
প্রযুক্তি উদ্যোক্তা তপসু বলেন, ‘আমাদের কফি মেশিন থেকে শুরু করে ওয়াশিং মেশিন, টুথব্রাশ—সবকিছু ইন্টারনেটের আওতায় আসবে। কিন্তু ব্লুটুথ বা ওয়াই-ফাইয়ে ১০টির বেশি যন্ত্র সংযোগ করতে গেলেই এতে বিঘ্ন ঘটতে দেখা যায়। 
গত বছরে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে লাই-ফাই নিয়ে পরীক্ষা চালানো এস্তোনিয়ার প্রতিষ্ঠান ভেলমেনির প্রধান নির্বাহী দীপন সোলানকি বলেন, দুই বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু হবে এবং মানুষ এর ভিন্ন মাত্রা দেখতে পাবে। তথ্যসূত্র: এএফপি।

No comments:

Post a Comment