Wednesday 2 November 2011

বিনোদন নিয়ে হাজির হচ্ছে ইউটিউব

ভার্চুয়াল দুনিয়াকে আলাড়িত করতে নিজস্ব বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠান নিয়ে হাজির হচ্ছে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিনোদিত করতে চালু করতে যাচ্ছে শতাধিক ভিডিও চ্যানেল। নভেম্বর মাসেই পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু করবে বেশিরভাগ চ্যানেল। চ্যানেলগুলো প্রতিদিন ২৫ ঘণ্টারও বেশি ভিডিও সম্প্রচার করবে। সেই সঙ্গে চালু হবে অনেক অনলাইন সিরিজও। শীর্ষ ইন্টারনেটসেবা প্রতিষ্ঠান গুগল করপোরেশনের মালিকানাধীন ইউটিউব এক  ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রকাশিত বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, চলতি বছরেই বেশিরভাগ চ্যানেল সম্প্রচার শুরু করলেও চ্যানেলগুলোর উদ্বোধন হবে সামনের বছর। চ্যানেলগুলোয় হলিউডের বিভিন্ন প্রযোজনা কোম্পানি, তারকা ও বিভিন্ন গণমাধ্যম গ্রুপ সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০-এর মতো অনুষ্ঠান নির্মাতার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল ইন করপোরেশনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তি করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো পত্রিকার পাশাপাশি সঙ্গীত তারকা ম্যাডোনা, সাবেক এনবিএ তারকা শ্যাকিল ও’নিল, কৌতুক অভিনেতা অ্যামি পেলার, অভিনেত্রী অ্যাস্টন কুচার, ‘অফিস’খ্যাত তারকা রেইন উইলসন, আধ্যাত্মিক গুরু দীপক চোপড়া এবং ‘মডার্ন ফ্যামিলি’র অভিনেত্রী সোফিয়া ভারজারার মতো জনপ্রিয় ব্যক্তির সাথে। তবে চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি গুগল। অপরদিকে ইউটিউব জানিয়েছে, বিশেষভাবে ডিজিটাল যুগের জন্য উন্নয়ন করা হচ্ছে চ্যানেলগুলো। কেবল টেলিভিশনের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এ ভিডিও চ্যানেলগুলো এগিয়ে যাবে।
জানা গেছে, চুক্তিবদ্ধ বেশিরভাগ তারকাই তাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভিডিও চ্যানেল তৈরি করছেন। ম্যাডোনা অংশীদার হয়েছেন নাচের চ্যানেল ‘ড্যান্স অন’ এর।  অন্যদিকে ও’নিল খুলতে চাইছেন কমেডি চ্যানেল শ্যাক নেটওয়ার্ক। একইসাথে একটি ফিটনেস চ্যানেল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লায়ন্সগেট। পেশাদার কুস্তিগিররা চালু করছে ডব্লিউডব্লিউই।এ ছাড়াও ইউটিউব’র জন্য নিউজ স্যাটায়ার চালু করছে দ্য অনিয়ন। নিউজ ম্যাগাজিন স্লেট এবং খবর সেবা দিতে কাজ শুরু করছে থমসন রয়টার্স।চ্যানেল সম্প্রচারের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে ইতিমধ্যে প্রযোজকদেরকে দশ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে ইউটিউব। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পেতে অগ্রিম হিসেবে এ অর্থ খরচ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র মতে, চ্যানেলপ্রতি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ ডলার পর্যন্ত খরচ করা হয়েছে। আর এখানকার আয়ের বেশির ভাগই বিভিন্ন অংশীদারের কাছে যাবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিটি।প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই অপেশাদার ভিডিও’র পাশাপাশি পেশাদার ভিডিও দিয়ে বিজ্ঞাপনবান্ধব সাইট তৈরির চেষ্টা করছে ইউটিউব। অবশ্য ইউটিউব আগে থেকেই ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য টিভির মতো ইউটিউব লিনব্যাকসেবা চালু রেখেছে। এ সেবা ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ভিডিওগুলো অব্যাহতভাবে চালাতে সাহায্য করে।

No comments:

Post a Comment