Thursday 22 August 2013

কথা বলুন বিনা মূল্যে

হাল আমলে অনেকের হাতেই দেখা যায় স্মার্টফোন। ইন্টারনেট আর স্মার্টফোন থাকলে পুরো বিশ্বই হাতের মুঠোয় চলে আসে মুহূর্তেই। শুধু কথা বলা আর এসএমএস পাঠানোর বাইরেও যে অনেক কিছু করা যায়, হাতের ফোনটি দিয়ে সেটি এখন প্রমাণিত। আর নানা ধরনের কাজকে সহজ করতে রয়েছে লাখো অ্যাপ্লিকেশনস বা অ্যাপস।

মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সাধারণত যে কাজটি মূলত করা হয় সেটি হচ্ছে কথা বলা। এ কাজটি সাধারণত করা হয় নির্দিষ্ট মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। অ্যাপ ব্যবহার করে কথা বলা আর এসএমএস আদান-প্রদানের কাজটি চাইলে বিনা মূল্যে করা যায়।অর্থাৎ ইন্টারনেটে যুক্ত স্মার্টফোন থেকে কথা বলা আর এসএমএস করা যাবে, সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে। এমন সুবিধা নিয়ে রয়েছে ভাইবার নামের একটি অ্যাপ।
এটি প্রায় সব ধরনের স্মার্টফোনেই ব্যবহার করা যায়। ভাইবার মিডিয়ার তৈরি ভাইবার অ্যাপ উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, অ্যান্ড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরি, ওএস, আইওএস, সিরিজ ৪০, সিমবিয়ান, বাডা এবং উইন্ডোজ ফোনে ব্যবহার করা যায়। বিনা মূল্যে নিজের অ্যান্ড্রয়েড চালিত ফোনের প্লেস্টোর (http://goo.gl/x2eX0Y) থেকে, আইওএসের আইটিউনস (http://goo.gl/ZH5dhT) থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে অ্যাপসটি। এ ছাড়া উইন্ডোজ ফোনের জন্য ভাইবার নামাতে পারেন http://www.viber.com/ products/windows ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে। নিজের স্মার্টফোনে ইতিমধ্যে থাকা নম্বর তালিকায় যারা ভাইবার ব্যবহারকারী, তাদের নামের তালিকা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভাইবারে যুক্ত হয়ে যাবে। আর ভাইবারে যুক্ত হলে নিজের নম্বর তালিকায় থাকা অন্য ভাইবার ব্যবহারকারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পেয়ে যাবে নোটিফিকেশন। এ ছাড়া আপনার নম্বর তালিকায় যদি কেউ ভাইবারে যুক্ত হয়, আপনিও পেয়ে যাবেন নোটিফিকেশন আর ওই ব্যক্তির ভাইবার আইডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ভাইবার নম্বর তালিকায় যুক্ত হয়ে যাবে। চাইলে নিজের ছবি যোগ করা ছাড়াও ভাইবারের প্রোফাইলে নিজের কিছু তথ্য যোগ করতে পারেন। এতে করে অন্যরা আপনাকে খুঁজে পাবে সহজে।হয়তো দেখলেন আপনার নম্বর তালিকায় থাকা অনেকেই ভাইবার সম্পর্কে জানে না কিংবা ব্যবহার করছে না, চাইলে তাদেরও সহজে একটি এসএমএস পাঠিয়ে দিতে পারেন। সেটিংসে নিয়ে একটি স্বয়ংক্রিয় বার্তা তৈরি করা আছে যা শুধু আপনি পছন্দের ব্যক্তিদের পাঠিয়ে দিলেই হবে। এ ছাড়া আপনার ফেসবুক, টুইটার অ্যাকাউন্টে থাকা অন্যদেরও একই বার্তার মাধ্যমে ভাইবারে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। করতে পারেন ই-মেইলও। ভাইবার ব্যবহারকারীদের আপনার প্রিয় অনেককে একসঙ্গে চাইলে গ্রুপ এসএমএসও পাঠাতে পারবেন।
২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ভাইবার। আর চলতি বছরের ৭ মে ভাইবার ২০ কোটি বার ডাউনলোড হওয়ার মাইলফলক অর্জন করে।
ভাইবারে সবচেয়ে কাজের যে বিষয়টি তা হলো, এতে নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের মধ্যে যে কথা বলা যাবে কিংবা এসএমএস পাঠানো যাবে তা কিন্তু নয়। সারা বিশ্বে থাকা যেকোনো ভাইবার ব্যবহারকারীকেই যেমন বিনা মূল্যে ফোন করা যাবে, তেমনি পাঠানো যাবে এসএমএসও। বর্তমানে ৩০টি ভাষায় ভাইবার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। মোবাইলের ইন্টারনেটে পাশাপাশি চাইলে তারহীন ওয়াই-ফাই এবং থ্রিজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও উন্নত কথা বলার সুবিধা পাওয়া যায় ভাইবারে। এতে ইন্টারনেটের গতিও যে অনেক বেশি লাগে তা নয়, বরং নির্দিষ্ট ইন্টারনেট গতি থাকলেই দারুণভাবে কথা বলা যায় ভাইবার ব্যবহারের মাধ্যমে। বিনা মূল্যে কথা বলা, এসএমএস আদান-প্রদান, ছবিযুক্ত এসএমএস আদান-প্রদান, লোকেশন শেয়ার এসব সুবিধার ভাইবারে যুক্ত হতে কোনো নিবন্ধনের প্রয়োজন হয় না। ভাইবার ইনস্টল করার পর নিজের মোবাইল ফোনে ভাইবার একটি এসএমএস পাঠায়। ওই নম্বরটি সহজ নিবন্ধনের জন্য ভাইবারে লিখে দিলেই কাজ শেষ। বিস্তারিত: http://www.viber.com

No comments:

Post a Comment