Friday 21 February 2014

ডিস্ক ফরমাটের প্রকার

কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে হলে একপর্যায়ে হার্ডডিস্ক ড্রাইভের পার্টিশন তৈরি করে সেটি ফরম্যাট করে নিতে হয়। ফরম্যাট দুই ধরনের হয়ে থাকে—কুইক ও ফুল ফরম্যাট। যদিও উইন্ডোজ ৭ ও ৮ অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার সময় আগে থেকেই কুইক ফরম্যাট নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে। উইন্ডোজ এক্সপি বা নিচের দিকের অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে গেলে একপর্যায়ে হার্ডডিস্ক ড্রাইভের পার্টিশন তৈরি করে, সেটি ফরম্যাট করে নিতে হয়।
এখন প্রশ্ন হলো এই কুইক বা ফুল ফরম্যাটের মধ্যে পার্থক্যটা কী? কোন ধরনের ফরম্যাট ডিস্কের জন্য ভালো বা টেকসই হবে?
দুই ধরনের ফরম্যাট-পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় আলাদা কারণে। প্রথমত, কোনো ডিস্ককে ছোট ছোট ইউনিট বা ব্লকে বিভক্ত করে ‘লো-লেভেল’ ফরম্যাট করা হয়, যাতে অপারেটিং সিস্টেম প্রবেশ করতে পারে। বর্তমানে ডিস্ক নির্মাতারা সেক্টর সাইজ হিসেবে এসব হার্ডডিস্কে লো-লেভেল ফরম্যাট ব্যবহার করে থাকে। দ্বিতীয় ফরম্যাট-পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় হার্ডডিস্ককে হাই-লেভেল ফরম্যাট করার জন্য। এভাবে অপারেটিং সিস্টেম তার ব্যবহার-উপযোগী একধরনের ফাইল সিস্টেম কাঠামো (এফএটি বা এনটিএফএস) ডিস্কে তৈরি করে। হাই-লেভেল ফরম্যাট ডিস্কের সব ডেটা সেক্টর খালি করে ফেলে।
তাই যখন ডিস্ককে ফরম্যাট করতে যাই, তখন আসলে হাই-লেভেল ফরম্যাটিং ব্যবহার করে ডিস্কে একটি নির্দিষ্ট ফাইল সিস্টেম তৈরি করি। আর যখন ফুল ফরম্যাট নির্বাচন করা হয়, তখন ডিস্কের সব সেক্টর স্ক্যান করে সেখানে কোনো ব্যাড সেক্টর পাওয়া যায় কি না, তা পরখ করা হয়, তারপর প্রতিটি ডেটা সেক্টর খালি করে ফেলা হয়। ডিস্কের প্রতিটি সেক্টরে প্রবেশ করতে হয় বলে ফুল ফরম্যাটে সময় লাগে বেশি। যেখানে কুইক ফরম্যাট শুধু ফাইল সিস্টেম তৈরির কাজটা করে থাকে। কুইক ফরম্যাট খুব দ্রুত করা গেলেও কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিলে আপনি সম্ভবত ফুল ফরম্যাটকেই বেছে নেবেন।
কুইক ফরম্যাটে ফাইলের তথ্য বা ডেটা ডিস্কে থেকেই যায়। আনডিলিট বা ফাইল রিকভার জাতীয় প্রোগ্রাম ব্যবহার করে সহজেই সেগুলো ফিরিয়ে আনা যাবে। আরেকটি কারণ হলো, আপনি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না যে হার্ডডিস্কের বর্তমান অবস্থা কী রকম। সে ক্ষেত্রে ফুল ফরম্যাট করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ডিস্কে কোনো ব্যাড সেক্টর থেকে থাকলে সেগুলো চিহ্নিত হওয়ার ফলে পরে তথ্য নষ্ট বা করাপ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না।

No comments:

Post a Comment