Monday 28 December 2015

পুরানো ফোন থেকে সিকিউরিটি ক্যামেরা

নতুন স্মার্টফোন কেনার পর পুরানো ফোনটি ব্যবহার করা যেতে পারে ঘরের সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে। এক্ষেত্রে সিকিউরিটি ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমেই ফেলা রাখা পুরোনো ফোনগুলোকে সিকিউরিটি ক্যামরা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে এবং যেকোনো জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক মার্কিন সাইট সিনেট জানিয়েছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলেই তার ফেলে রাখা পুরোনো ফোনকে সহজেই সিকিউরিটি ক্যামেরায় রূপান্তর করতে পারবেন এবং যে কোনো জায়গা থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ফোনটি স্বচল হতে হবে এবং পেছনের ক্যামেরার কার্যক্ষমতাও ঠিক থাকতে হবে।
প্রথম ধাপ: সিকিউরিটি ক্যামেরা অ্যাপ ইনস্টল করা
শুরুতে, ফোন ব্যবহারকারীকে অবশ্যই পুরানো ফোনে একটি সিকিউরিটি ক্যামেরা অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে। যদি পুরানো ফোনটি আইফোন হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ‘মেনিথিং’ অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করা যেতে পারে যা অ্যাপ স্টোর থেকে ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে। অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য যা যা করণীয়:
পুরানো এবং নতুন দুটো ফোনের জন্য অ্যাপ স্টোর থেকে মেনিথিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
পুরোনো ফোনের ক্ষেত্রে সেটিংস্ এ গিয়ে স্ক্রিন অটো লক বন্ধ করে দিতে হবে।
ইমেইল অথবা ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে অ্যাপটি রেজিস্টার করতে হবে।
পুরানো আইফোনের ক্ষেত্রে ক্যামেরা মোড এবং নতুনটির ক্ষেত্রে ভিউয়ার মোড সিলেক্ট করতে হবে।
সরাসরি সম্প্রচারের জন্য ক্যামেরা মোডে রেড বাটন প্রেস করতে হবে।
নতুন ফোনটিতে ভিডিও রেকর্ডগুলো লিস্ট আকারে চলে আসবে, অন্যথায় ব্যবহারকারী মেনিথিং.কম-এ লগ ইন করে ভিডিওগুলো দেখতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে আইপি ওয়েবক্যাম অ্যাপটি ব্যবহার করা যেতে পারে, এর প্রো ভার্শনের সবগুলো ফিচার এর জন্য ৩.৯৯ ডলার খরচ করতে হবে। অ্যাপটি ব্যবহারে যা যা করণীয়:
গুগল প্লে স্টোর থেকে আইপি ওয়েবক্যাম অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।
অ্যাপটি চালু করতে হবে এবং অ্যাপ ব্যবহারকারী তার পছন্দমত ভিডিও ইফেক্ট, পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সেটিংসহ অন্যান্য ফিচারগুলো সেট করতে পারবেন।
ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য অ্যাপ ব্যবহারকারীকে আইভিডিওন ডটকম-এ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং উপযুক্ত ক্লাউড স্ট্রিমিং পরীক্ষা করে নিতে হবে।
অ্যাপটির শুরুতে থাকা স্টার্ট সার্ভারটি চিহ্নিত করে লাইভ ভিডিও চালু করা যাবে।
সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে সেট করা ফোনের আইপি অ্যাড্রেস ও পোর্ট নম্বর অন্য কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্য যে কোনো ডিভাইসের ওয়েব ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে দিয়ে ভিডিও রেকর্ডগুলো দেখতে পারবেন ব্যবহারকারী।
দ্বিতীয় ধাপ: পছন্দসই জায়গা বেছে নেয়া
অ্যাপ চালু করার পর অ্যাপ ব্যবহারকারীকে পুরনো ফোনটি সেট করার জন্য তার বাসস্থানের উপযুক্ত একটি জায়গা বেছে নিতে হবে। যদি একাধিক পুরোনো ফোন থাকে, ‍সেক্ষেত্রে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় ফোনগুলো সেটআপ করে নেয়া যেতে পারে।
তৃতীয় ধাপ: ক্যামেরার কার্যক্ষমতা উন্নত করা
সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে সেট করার জন্য স্মার্টফোন ট্রাইপড কাজে আসতে পারে ব্যবহারকারীর। ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ভিউ পাওয়ার জন্য পুরানো স্মার্টফোনটিতে একটি ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স লাগানো যেতে পারে এবং ফোনটির আশপাশে অবশ্যই বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকতে হবে যাতে কেবল দিয়ে ফোনটি রিচার্জ করা যায়।

No comments:

Post a Comment